সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
বৃষ্টির মধ্যেও জনতার ঢল মরহুমা নার্গিস বেগমের জানাযা অনুষ্ঠিত শাহজাদপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় লজিক প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত রাজশাহী ডিভিশনাল কমিউনিটির নতুন কমিটি গঠন বিএনপি নেতার আবেদনের প্রেক্ষিতে মোকামতলা পৌরসভা গঠনের পরিকল্পনা উঠতি মধ্যবিত্ত তরুণরা সব সময় স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন: ফারুক ওয়াসিফ মাছের গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগে সাবেক এমপির ছেলে আটক শিবগঞ্জে পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত নারীর কঙ্কাল উদ্ধার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন আগামী ১৭ আগষ্ট কুড়িগ্রামে “ফুল” এর শিক্ষা বৃত্তি সনদপত্র ও অর্থ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পেলেন ফিল্ম আর্কাইভের গবেষণা ফেলোশিপ কুড়িগ্রামে ৭ দিনব্যাপী বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন জাকসু নির্বাচন ১১ সেপ্টেম্বর, তফসিল ঘোষণা প্রস্তুতি থাকলেও অনুমতি মেলেনি রাষ্ট্রপতির; অনিশ্চয়তায় কুবির দ্বিতীয় সমাবর্তন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে জাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন পিএসসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে “সরকার ও রাজনীতি” বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠি উত্তাল: মানববন্ধন-বিক্ষোভে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির হুঁশিয়ারি নাসির নগরে নৌকায় ঘুমানোয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি জেরে এক জেলের বৈঠার আঘাতে আরেক জেলের মৃত্যু, মাওলানা সাইদুর রহমান জয়পুরহাট শহর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর হিসেবে মনোনীত তুহিন হত্যা ও সারা দেশে সাংবাদিক নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন কাঠালিয়া প্রেস ক্লাব

ইছামতি নদীর বুকে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় জনজীবনে দুর্ভোগ

মফিজুর রহমান,  মানিকগঞ্জ:

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও বয়রা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী, যা পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামকে বিভক্ত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য কোনো পাকা সেতু নির্মিত হয়নি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো , যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

এই বাঁশের সাঁকো  দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার হন। বিশেষ করে পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দারা বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, উপজেলা ও থানা অফিসে যেতে বাধ্য হন ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো ব্যবহার করেই। অনেক সময় বৃদ্ধ ও শিশুরা পারাপারের সময় পড়ে গিয়ে আহত হন। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছায়, কারণ তখন সাঁকোটিও প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫৬ মিটার দৈর্ঘের  বাঁশের সাঁকো বর্তমানে অনেকটা নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে। সাঁকোর বাঁশগুলো নড়বড়ে অবস্থায় পরিণত হয়েছে আবার কোথাও কোথাও বাঁশগুলো এমনভাবে ভেঙে গিয়েছে যা মানুষজন চলাচলের জন্য অনুপযোগী। এই দীর্ঘ সাঁকো দিয়ে শিশুসহ বৃদ্ধদের পারাপার হওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বহুবার একটি স্থায়ী সেতুর দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা কষ্ট করছি। স্কুলগামী শিশুদের জন্য এটি সবচেয়ে ভয়ংকর। একটু অসতর্ক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”

সামিয়া আক্তার নামের একজন কলেজ শিক্ষার্থী জানান,কয়েকদিন আগে কলেজে যাওয়ার সময়  সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিচলে পরে যায়।  এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে  হাসপাতালে নিয়ে  যান। এছারাও তিনি আরও বলেন, শিশুরা একা একা সাঁকো পার হতে না পারায় ভোগান্তিতে পরতে হয় মা-বাবাকে।স্কুলে যাওয়ার সময় সাঁকো পার করে দেওয়া, আবার স্কুল থেকে ফেরার সময় সাঁকো পার করার কাজ করে দিতে হয় মা- বাবাকে।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার  বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক, যাতে পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয় এবং তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারেন। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে কি না, তা এখন দেখার বিষয়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩