শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
ড্রাম ট্রাকের চাপায় যুবক নিহত নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বউ-শাশুড়ি মেলা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৫–২৬: নেতৃত্বে ইবি ও পবিপ্রবি বাউফলে ড. মাসুদের গণসংযোগ নাসিরনগরে দিনব্যাপী সীরাতুন্নবী (সা:) মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত পাইপ ফেটে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে ২০ জেলে আহত মাভাবিপ্রবিতে সৈনকিয়ান পূর্ণমিলনী ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে চান আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক কুড়িগ্রামে দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী ৬ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সহায়তা করছে ব্র্যাক বাঘাইছড়িতে জাতিগত বৈষম্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ ৯০ দিনে কুরআনের হাফেজ হলেন মাহদী রাজাপুরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধন ২৯৯ নং আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দীপেন দেওয়ানকে চান বাঘাইছড়িবাসী পটিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই শ্রমিকের মৃত্যু মুরাদনগরে অবৈধ ড্রেজার ও পাইপলাইন উচ্ছেদে উপজেলা প্রশাসনের ব্যাপক অভিযান কুবিতে ’হাল্ট প্রাইজ ২০২৫-২৬’- এর আয়োজক কমিটি ঘোষণা একাধিক হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন সাগর গ্রেপ্তার জুবায়ের হত্যাকান্ড নিয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন গজারিয়ায় শ্যামা সংঘের উদ্যোগে শ্রী শ্রী শ্যামা কালীপূজার রজত জয়ন্তী উদযাপন জাবিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের ক্যাম্পেইন শুরু

ইছামতি নদীর বুকে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় জনজীবনে দুর্ভোগ

মফিজুর রহমান,  মানিকগঞ্জ:

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও বয়রা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী, যা পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামকে বিভক্ত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য কোনো পাকা সেতু নির্মিত হয়নি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো , যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

এই বাঁশের সাঁকো  দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার হন। বিশেষ করে পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দারা বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, উপজেলা ও থানা অফিসে যেতে বাধ্য হন ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো ব্যবহার করেই। অনেক সময় বৃদ্ধ ও শিশুরা পারাপারের সময় পড়ে গিয়ে আহত হন। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছায়, কারণ তখন সাঁকোটিও প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫৬ মিটার দৈর্ঘের  বাঁশের সাঁকো বর্তমানে অনেকটা নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে। সাঁকোর বাঁশগুলো নড়বড়ে অবস্থায় পরিণত হয়েছে আবার কোথাও কোথাও বাঁশগুলো এমনভাবে ভেঙে গিয়েছে যা মানুষজন চলাচলের জন্য অনুপযোগী। এই দীর্ঘ সাঁকো দিয়ে শিশুসহ বৃদ্ধদের পারাপার হওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বহুবার একটি স্থায়ী সেতুর দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা কষ্ট করছি। স্কুলগামী শিশুদের জন্য এটি সবচেয়ে ভয়ংকর। একটু অসতর্ক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”

সামিয়া আক্তার নামের একজন কলেজ শিক্ষার্থী জানান,কয়েকদিন আগে কলেজে যাওয়ার সময়  সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিচলে পরে যায়।  এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে  হাসপাতালে নিয়ে  যান। এছারাও তিনি আরও বলেন, শিশুরা একা একা সাঁকো পার হতে না পারায় ভোগান্তিতে পরতে হয় মা-বাবাকে।স্কুলে যাওয়ার সময় সাঁকো পার করে দেওয়া, আবার স্কুল থেকে ফেরার সময় সাঁকো পার করার কাজ করে দিতে হয় মা- বাবাকে।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার  বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক, যাতে পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয় এবং তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারেন। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে কি না, তা এখন দেখার বিষয়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩